অর্থনীতিজাতীয়

বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় : বিমানমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, এই মুহূর্তে ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, তবে এ বিমান কিনতে কত টাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে, তার ওপর।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সাথে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়। এছাড়া এয়ারবার বিষয়ে আমরা ভালো প্রস্তাব পেয়েছি।

বিমান কেনার ক্ষেত্রে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এয়ারবাস বলতে কেবল ফ্রান্সই না। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স এই তিন দেশ মিলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরইমধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে, সেগুলো আমরা বিবেচনা করব।

Advertisement (1 of 2): 1:55

Close PlayerUnibots.com
ভালো প্রস্তাব বলতে তারা কী দিতে চেয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হবে তার সুদ, সেইসাথে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে বেশ ভালো প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এয়ারবাস কেনার কথাও ভাবছি। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মূল্যায়ন টিম এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। কারণ বাজেটের আগে এই মূল্যায়ন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে আমি মনে করি।

তিনি আরো বলেন, এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, এবার আমরা এটা করব না।

বিমানমন্ত্রী বলেন, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা হবে। এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগ আছে।

তারা জানেন, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। তারা জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের এভিয়েশনের অনেক কর্মকাণ্ড আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে ব্রিটিশ সরকার বিনিয়োগে আগ্রহী। আমাদের পর্যটন খাতে ব্রিটিশরা বিনিয়োগের কথা বলেছেন। এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কথা হয়েছে আমাদের সিকিউরিটিদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে। এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিনিয়োগও হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতির। সেগুলো আমরা আগামীতে দেখব।

মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এতো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। দুনিয়াতে প্রায় ৫০০ এর মতো ড্রিমলাইনার চলে।

থার্ড টার্মিনাল কবে চালু হবে জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন, আরও মাস ৬ মাস লাগবে।

সূত্র : ইউএনবি

Show More

Related Articles

Back to top button