প্রসঙ্গ : হজ্ব ও কোরবানী
আল কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, অর্থাৎ মানুষের ওপর আল্লাহর এ অধিকার যে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌছার শক্তি সামর্থ্য যে রাখে সে যেন হজ্ব করে এবং যে এ নির্দেশ অমান্য করে কুফরের আচরণ করবে তার জেনে রাখা উচিৎ যে, আল্লাহ বিশ্ব প্রকৃতির ওপর অবস্থানকারীদের মুখাপেক্ষী নন। (আল ইমরান-৯৭)
মহান আল্লাহ বলেন- অর্থাৎ আর লোকদের মধ্যে হজ্বের ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার নিকট সব দুরবর্তী স্থান হতে পায়ে হেটে ও উটের ওপর সাওয়ার হয়ে আসবে। (হজ্ব-২৭)
কোরবানী প্রসঙ্গে আল কোরআনে আল্লাহ বলেন- আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানী নির্ধারণ করেছি। যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুষ্পদ জন্তু জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও। (হজ্ব- ৩৪)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন- অর্থাৎ, এগুলোর (কোরবানীর পশু) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌছে না। কিন্তু পৌছে তার কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিকভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন। যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎ কর্মশালীদের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও। (হজ্ব- ৩৭)