
আবু নাসিফ:
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫০ বছরেও দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেলপথে ডাবল লাইন নির্মাণ করা হয়নি। বৃটিশ আমলে ১৯৪৮ সালে নিমার্ন করা হয় এই রেল পথ। এরপর পাকিস্তান পরবর্তি স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫০ বছরে বিভিন্ন সরকার রেলওয়ের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপের কথা বললেও বাস্তবের মুখ দেখা যায়নি। যারফলে ডাবল লাইনে উন্নীত না করায় এই রেলপথে ভ্রমণকারী হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। খুলনা থেকে প্রতিদিন রেলপথে খুলনা–ঢাকা–রাজশাহী–গোয়ালন্দ–নিলফামারী, সৈয়দপুর–দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গে ট্রেনযোগে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। রেলওয়ের খুলনা থেকে আন্তঃনগর সুন্দরবন, চিত্রা, রূপসা, সীমান্ত, কপোতাক্ষ, সাগরদাঁড়ি,বেনাপোল এবং কয়েকটি মেইল ও লোকাল ট্রেন এবং মালবাহি ট্রেন এ পথে প্রতিনিয়ত চলাচল করে।
কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার সৃষ্টি হয়। একটি ট্রেন আসলে অন্যটি যে কোন রেলষ্টেশনে আটকা পড়ে। অর্থাৎ সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় একই সময়ে বিপরীতমুখি দুটি ট্রেন চলাচল করা সম্ভব হয় না। একটি ট্রেন আসার খবর হলে অন্যটি পূর্ববর্তী ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি করে পারাপার করতে হয়। এতে সময়ের অপচয় ঘটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের। ট্রেনে যাতায়াতে বিলম্ব ঘটে। কিন্তু ডাবল লাইন থাকলে এ অবস্থা হতো না। অথচ স্বাধীনতা পরবর্তী ৪২ বছরেও সরকার খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত মাত্র একশত ত্রিশ কিলোমিটার রেলপথ ডাবল লাইন নির্মাণ করতে পারেনি। যার ফলে জনগণের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে । এ ব্যাপারে বিগত পাঁচ বছর আগে সাবেক রেল মন্ত্রী .. সাবদারপুর স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে ঘোষনা দিয়েছিলেন অতি সত্তর দর্শনা–খুলনা রেলপথ ডাবল রাইন করা হবে, কিন্তু পাঁচ বছরের বেশি সময় পার হলেও ডাবল লাইনের কোন কাজ শুরু হয়নি।