
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজনীতিতে আবার সংশয়-শঙ্কা আর রনডংকা। আশা-হতাশাা-সহিংসতা ও উত্তাপ বাড়ছে। কি হতে যাচ্ছে আগামীর রাজণীতি। আওয়ামীলীগ আবারো যে কোন খৌশলে ক্ষমতায় থেকে যাবে নাকি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার রদবদল হতে যাচ্ছে। বিএনপি’র এক দফার আন্দোলন শেষ পযর্ন্ত কি সফলতার মুখ দেখবে নাকি মাঠে মারা যাবে? এমন সব জিজ্ঞাসা এখন সাধারন মানুষের মাঝে। চায়ের দোকানে রাস্তাঘাটে কিংবা মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেও দেখা হলে এমন সব প্রশ্ন সাধারন মানুষের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে সব ধরনের মানুষের মাঝে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দল ও তাদের মিত্ররা এখন মাঠে। বিরোধী দলগুলো আন্দোলন ধীরে ধীরে জোরদার করছে। ছুড়ছে হুঙ্কার। কোন ছাড় দেয়া হবে না। বিরোধী দল পালাবার জাগা পাবে না। নানা বক্তব্য প্রতিদিন বিরোধী-বনাম সরকারি উভয় দলের পক্ষ থেকে আসছে। বিরোধী দলের গন মিছিল এক দফার আন্দোলনের মাঠে নের্তবৃন্দ নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে । রাজপথ দখলের ঘোষনা দিয়ে মাঠে রয়েছে বিএনপি ও সমমনারা। গত ক’মাস আগে সরকার বিরোধীদলের সভা সমাবেশ পালনে কিছুটা নমনীয় নীতি দেখালেও বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষনার পরই নড়ে চড়ে বসেছে সরকারি দল আ’লীগ। বিএনপি ও তার মিত্রদেও সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ঘোষনাকে আন্দোলনের চুড়ান্ত ধাপ মনে করা হচ্ছে। এ জন্যে আন্দোলন দমনে ফের হার্ড লাইনে হাটছে সরকার। সরকার বিরোধীদেও এক দফা আন্দোলন ও হুমকি অস্তিত্বেও লড়াই হিসেঊের দেখছে সরকারের নীতি নির্ধারনী মহল। বিভিন্ন সভা সমাবেশে সরকারের শীর্ষ নেতাদেও বক্তব্যে তা বেরিয়ে আসছে। বিএনপি’র আন্দোলন কর্মসুচিতে সরকারি দলের প্রতিরোধমুখি তৎপরতাও লক্ষ্যনীয়। গত এক মাসে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে পুলিশের গুলিতে প্রান হারিয়েছে তিনজন বিএনপি নেতা। বিএনপি যতই আন্দোলন জোরদার করতে সচেষ্ট হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ তা প্রতিহত করতে কঠোর হচ্ছে। সুত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির পর থেকে বিএনপি ও তার মিত্রদের সভা সমাবেশ পালনে সরকার উদারতা দেখালেও সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুর্নবহালের দাবিতে কোন ভাবেই বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে দিতে রাঝী নয় আওয়ামীলীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়। এ জন্য বিএনপি ও তার মিত্রদেও নেতা কর্মীদের নামে পুলিশের দেয়া আগের মামলা গুলো জোরালো ভাবে নাকি সচল করা হচ্ছে। আন্দোলন দমন করার নানা কৌশল নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে গত শনিবার (১৯ আগষ্ট) দেশের বিণিœ স্থানে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে হামলা,সংঘর্ষ ওপুলিশের গুলির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রিয় পর্যায়ের নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আঃ খালেকসহ বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে। এতে জামায়াতের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত জামায়াতের নেতাকর্মীদের মনে অশান্তির আগুন জ্বলছে। নেতাকর্মীদের আশঙ্কা যে আবারও যদি বিনা আন্দোলনে জেলে যেতে হয় তবে কি হবে। এদিকে বিএনপি মনে করছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ ও অবাধ পরিবেশে হয় তবে ক্ষমতার পরিবর্তন নিশ্চিত অর্থ্যাৎ বিএনপি জনগনের ভোটে ক্ষমতায় আসছে। তাছাড়া সামনের দ্বাদশ নির্বাচনে আবারও আওয়ামীলীগ ক্ষমাতয় আসলে বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে। তাই আগামী নির্বাচনই একমাত্র বড় আশা-ভরশা। তাই জীবন মরন সংগ্রামের মধ্যেই তাদের আগামী রাজনীতির বাঁচন মরন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনর আওয়ামী লীগও যে কোন ভাবেই ক্ষমতা ছাড়তে চাইবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারন তাদেরও রাজনীতির ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর অন্ধকার পরিনতির গর্তে নিপতিত হবে।