ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার এএসআই রওশন আলীর বেআইনী আচরন, প্রতারনা, হুমকি প্রদর্শনের কারনে নিরাপত্তাহীনতা ও সম্মানহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। গতকাল কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে তিনি লিখিত বক্তব্যে বিষয়টি তুলে ধরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি ঢাকায় একজন প্রিন্টিং ব্যবসায়ি। আমার গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ আলী হোসেন ২০১৯ সালে আমাকে তার সমস্যার কথা জানিয়ে বিদেশ যাওয়ার অভিপ্রায় জানায়। সে আমার চেনা-জানা বিদেশ পাঠনো কোন এজেন্সি অফিসের মাধ্যমে বিদেশ পাঠাতে সহযোগিতা চায়। তাকে আমি বলি ঢাকায় আমার আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পাশেই পলাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্টুটিং ট্রাভেল এজেন্সি আছে, তারা বিশ্বস্ততার সাথে বিদেশ লোক পাঠায় বলে আমি জানি। কাছাকাছি দোকান হিসেবে তারা আমার খুব চেনা জানা টাকা মার যাওয়ারও কোন ভয় নেই। তার অনুরোধে আমি ওই এজেন্সির কাছে গিয়ে আলী হোসেনকে বিদেশ পাঠানো এবং যাতে তার টাকা মার না যায় সে অনুরোধ করি। তারা আমাকে বলেন, ইরাক লোক নিচ্ছে। ভালো সুযোগ আছে। আমি তার টাকা মার না যাওয়ার দায়িত্ব নিয়ে ওই এজন্সির মাধ্যমে বৈধভাবে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি আলী হোসেনকে ইরাকে পাঠানো হয়। আলী হোসেন ইরাকে গিয়ে চাকরী করেন। প্রথম এককালিন আমার মাধ্যমে ৬৬ হাজার টাকা বাড়িতে পাঠায়। এর কিছুদিন পর এক পর্যায়ে আলী হোসেন সেখানে তার সমস্যা হচ্ছে বলে জানায়। এক বছর পরই সে ইরাক থেকে ফিরে আসে। এবার সে আমাকে দায়ী করে উল্টো-পাল্টা অভিযোগ তোলে। আমি বললাম আমিতো তোমাকে বিদেশ যেতে যেন টাকা মার না যায় সে সহযোগিতা করেছি মাত্র। আর এখন তুমি আমাকে দায়ী করছো? তবুও আমি তাকে বলেছি,আমি এজন্সিকে বলে তোমার জন্য কোন হেল্প করা যায় কিনা চেস্টা করছি। এ অবস্থায়,একদিন মহেশপুর থানার এএসআই রওশন আলী আমাকে ফোন করেন। (মোবা: ০১৭৩৬১৮১১৪১)। আমাকে বলেন আপনি থানায় আসেন। ০৭/০৩/২০ মহেশপুর থানায় বসে আলী হোসেনের উপস্থিতিতে এক সালিশ করেন । সেখানে আমি বিষয়টি খুলে বলার পরও তিনি (এএসআই রওশন সাহেব) আমাকে ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন। এ টাকা দিতে রাজি হতে আমাকে বাধ্য করা হয়। আমি নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দিতে রাজি হই। শালিশ বৈঠকে কথা হয় টাকা গুলো এএসআই রওশন আলী গ্রহন করে তাদের ফেরত দেবেন। সে অনুযায়ি আমি ৮ এপ্রিল ২০ তারিখ-২০ হাজার, ৮মে ২০ হাজার,৮জুন ২০ হাজার,৮জুলাই ২০ হাজার মোট=৮০ হাজার টাকা,মহেশপুরে এসে এএসআই রওশন আলীর হাতে দিয়ে আসি। তিনি আমাকে ধন্যবাদও জানান। বাকি ১০ হাজার টাকা আমি যথা সময়ে দিতে পারি নাই। তাই একদিন তিনি আমার বাড়িতে শ্রীরামপুরে গিয়ে হাজির হন। বাড়িতে আমাকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় আমর স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের সামনে গালাগালি করেন। বলেন ৯০ হাজার টাকা যেন তাড়াতাড়ি দিয়ে আসি, নইলে চটকে আমার নাড়ি বের করে দেবেন এবং ইয়াবা দিয়ে জেল খানায় পাঠাবেন। বাড়ির সবাই আতঙ্কিত হয়ে আমাকে মোবাইলে জানালে আমি এএসআই রওশন আলী সাহেবকে মোবাইলে এভাবে বলার কারন জানতে চাইলে তিনি আমাকে আরো অকথ্য ও বিশ্রী ভাষায় যা তা বলে হুমকি দেন। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন সেই থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ও অসম্মানজনক দিন কাটাচ্ছি। কারন অনেক অসৎ পুলিশতো মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে বলে অভিযোগ শোনা যায়। তাই তিনি বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন হস্তকে।ষপের মাধ্যমে এএসআই রওশন আলীর হয়রানি থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।