
বিএম ওয়াদুদ :
ঝিনাইদহের মহেশপুর মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব সামাউলের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার সরকারি খাসজমি ব্যাক্তি মালিকানায় ভোগদখলের ব্যবস্থা করে দিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ ও নাম খারিজসহ বিভিন্ন কাজে এসে মানুষ অনৈতিক দাবি পূরনে ব্যর্থ হলে নানা অজুহাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে ।
অভিযোগে জানা যায়, দু’বছর যাবত এ ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালন করছেন সামাউল হোসেন। এ সময়ে পুড়োপাড়া বাজারসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাসজমি ব্যাক্তি মালিকানায় দখল দিয়ে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে মিজানুর রহমান,আউয়াল,আঃ রউফ,মনোয়ার,মিজানুর রহমান জনি,মুজিবর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যাক্তির নাম রয়েছে। বিনিময়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা নাকি হজম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুড়োপাড়া বাজারে মুজিবরের নিজস্ব দুই শতক জমিতে দ্বিতল বাড়ির সাথে সরকারি আরো ২ শতক জমি নায়েবের আর্শিবাদে দখল করে বাড়ি করা হচ্ছে। এলাকাবাসি জানায়, কুরিপোল নাটিমার বাসিন্দা নায়েব সামাউল পৈত্রিক সুত্রে মাত্র ১৫ কাটা জমি পেয়েছেন। অথচ চাকরী করে অবৈধ ভাবে তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে মহেশপুর বাজারে তার আলীশান ২য় তলা বাড়ি,ছাড়াও মাঠে ৬/৭ বিঘা জমি এবং নামে বেনামে কোটি টাকা সঞ্চিত রয়েছে। তার মেয়েকে বেসরকারি মেডিক্যালে পড়াতে গিয়ে কোটি টাকা খরচ করেছেন। ছেলেকেও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াতে বহু লক্ষ টাকা ঢেলে যাচ্ছেন। এলাকার সচেতন মহল তার অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে অবৈধ টাকার তদন্তে দুদকসহ সরকারি অন্যান্য সংস্থার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।