
স্টাফ রিপোর্টার:
কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষীপুর এম,এস,এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত ৮ আগষ্ট বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক, আয়া ও নৈশ প্রহরী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গত ১৩ আগষ্ট অফিস সহায়ক পদে মল্লিকপুর গ্রামের শাকিল হোসেন নামে এক প্রার্থী তার পিতা আব্দুল গফুরকে সাথে নিয়ে আবেদন পত্র জমা দিতে যান। পিতা আব্দুল গফুরের অভিযোগ এ সময় প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক প্রাপ্তি স্বীকার ছাড়াই আবেদনপত্র গ্রহণ করেন। তখন প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে উপস্থিত সভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশ প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে চাকুরীর নিশ্চিয়তার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। আব্দুল গফুর জানান, আমি তখন নিরুপায় হয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে ৭ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হই। কিন্তু দু’জনই আমার প্রস্তাবে অসম্মতি জানান। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক জানান, অভিযোগকারী আব্দুল গফুরের সাথে আমার দেখাই হয়নি। আর টাকা নেওয়ার বিষয়টি একেবারেই অবান্তর। তবে তিনি শাকিলের আবেদন পত্র জমা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশের সাথে তার ০১৭১৩-৯০০১৫২ নং মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তিনি অজ্ঞাত কারনে রিসিভ করেননি।