
স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মোটর সাইকেলের কিস্তির অবশিষ্ট টাকা দিতে না পারায় এক কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় শোরুমের মালিককে দায়ী করে শাস্তির দাবিতে স্বজন ও এলাকাবাসি শনিবার স্থানীয় এলাকায় এক মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। স্থানীয় পৌর ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি’পড়–য়া ওই ছাত্রের নাম মাহফুজুর রহমান মাফি। উপজেলার শালকোপা গ্রামের প্রবাসী আকিমুল ইসলামর ছেলে।
এলাকাবাসি ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগষ্ট মাফি কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজ বাড়ির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের একমাত্র ছেলের এই আত্মহত্যায় শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে তার মা। আত্মহত্যার কারন খুজতে গিয়ে তারা জানতে পারে কোটচাঁদপুর শহরের ঢাকা মর্টস’র শো রুম থেকে কয়েকমাস আগে ২লাখ ১০ হাজার টাকায় কিস্তিতে মোটর সাইকেল ক্রয় করেন মাফি। কয়েক দফা কিস্তির টাকার পরিশোধের পর বাকি ৭০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল চলতি মাসের ২৫ তারিখে। কিন্তু ঢাকা মর্টস’র মালিক আলমগীর চলতি মাসের ১৬ তারিখে মাফিকে শো’রুমে ডেকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মোটর সাইকেলটি কেড়ে রাখেন। আলমগীরের ঢাকা মোটরসের শো রুমের ১৬ তারিখের সিসিিিটভির ফুটেজে দেখা যায়, মাফি তার বাইকটি নিয়ে শো’রুমের সামনে আসে।সেখানে পুর্বেই আলমগীরের লোকজন অপেক্ষা করছিল। মাফি আসার পরেই আলমগীরের নির্দেশে একজন তার বাইকটি নিয়ে চলে যায়। আর মাফিকে আলমগীর শোরুমের ভিতরে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আর বলেন টাকা দিতে না পারলে গাড়ি পাবি না, টাকা না থাকলে বাড়ি যেয়ে আত্মহত্যা করো। এছাড়া বিভিন্ন ভাবে মানষিক টর্চার করা হয় তাকে। মাহফুজুর রহমান মাফি এই অপমান সইতে না পেরে বাড়ি যেয়ে তার ঘরের সাথে দোকানের মধ্যে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। মাহফুজ হত্যার মুল কারন জানার পর স্বজন ও গ্রামবাসি ফুসে উঠে। গত পরশু শনিবার তারা শোরুমের মালিকের শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন ও বিেিক্ষাভ মিছিল বের করে। মাফির মা চাচা বন্ধু ও গ্রামের সকল মানুষের দাবি এই আত্মহত্যার প্ররোচিত করার কারনে শোরুমের মালিক আলমগীরের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তারা।
মাফিকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করার অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা জানকে ঢাকা মটরসের শোরুমে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার বাসায় খোজ নিতে গেলে তার মা বলেন আমার ছেলে কোন দোষ করেনি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে কোটচাঁদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, এই আলমগীর ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা কিস্তি নিয়ে অনেক দামি দামি মোটর সাইকেল যাকে তাকে দিয়ে দেয় কিস্তিতে অধিক সুদের শর্তে। পরবর্তিতে টাকা দিতে না পারলে বা দেরি হলে বাইক আটকিয়ে বা ক্রেতাকে আটক রেখে নির্যাতন করেন। এই মাফিকেও একই ভাবে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে এই আলমগীর। এর বিচার হওয়া উচিৎ বলে তিনি দাবি করেন। গতকাল শরিবার সাবদারপুর ইউনিয়নের সালকোপা গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ রাস্তায় দাড়িয়ে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা ঢাকা মর্টস শোরুমের মালিক আলমগীরের ফাঁিসর দাবি করেন। তারা ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই দাবি করে কলেজছাত্র মাহফিজের হত্যার ফাসিঁ চাই বলে শ্লোগান দেন।