বর্তমান সময়ে খাঁটি মধু চিহ্নিত করা খুবই দুরহ ব্যাপার। কারণ এক শ্রেণির অসাধু মধু ব্যবসায়ি তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে মধুতে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল বস্তু (যেমন চিনি ইত্যাদি) দিয়ে মিশ্রিত করে বিক্রি করে থাকেন। যার কারণে সাধারণ মানুষ খাঁটি মধু থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।
মধুর গুণাগুন, ইতিহাস, মৌচাকের জীবনযাত্রা, মধুর গুণাগুণ সম্পর্কে কোরআন এবং হাদীসের বর্ণনা বিস্তারিত নিম্নোক্ত লিংক সমূহ উইকিপিডিয়া থেকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
১০.মধু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা’
শুধুমাত্র আমরাই ১০০ ভাগ গ্যারান্টি সহকারে তিন (০৩) ধরনের মধু সরবরাহ করে থাকি। যে কেউ এটি সঠিক পরীক্ষণের মাধ্যমে খাঁটি কি না যাচাই করে ক্রয় করতে পারেন।
নিম্নোক্ত যে কোন ধরনের খাঁটি মধু শতভাগ গ্যারান্টি সহকারে সঠিক পরীক্ষণের মাধ্যমে পাইকারী এবং খুচরা বিক্রয় করে থাকি।
যোগাযোগ : ০১৮৬৬-৬২৬৬৬২
১। কালিজিরার মধু
মধু এবং কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা সবাইই কমবেশি মধু এবং কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে জানি। তাই আমরা অনেকেই মধুর বিশেষ উপকারিতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে মধু কিনি। কিন্তু সমস্যা হলো খাঁটি মধু পাওয়া খুবি দুষ্কর। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, খাঁটি মধু পাওয়া আর সোনার হরিণ পাওয়া একি কথা।
কালোজিরা ফুলের মধু কি? আগে আমাদেরকে জানতে হবে যে, কালোজিরা ফুলের মধু কি? যেহেতু আমাদের দেশের মানুষ মধুর সম্পর্কে জ্ঞান খুবই কম তাই অনেকেই জানেন না কালোজিরা ফুলের মধু কি? বা কী ভাবে তৈরি হয় এবং এর উপকারিতা কি ও কোথায় পাওয়া যায়?
এক কথায় কালোজিরা ফুলের মৌসুমে, মৌমাছি কালোজিরার ফুল থেকে যেই নেকটার সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে যেই মধু বানাই আমরা তাকেই কালোজিরা ফুলের মধু বলি।
কালোজিরা ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য: মধুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে আপনি যে মধু কিনছেন তা খাঁটি না ভেজাল তা বুঝতে পারবেন না। তাই মধুর বৈশিষ্ট্য জানা খুবিই দরকার।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একেক ফুলের মধুর একেক রকম বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমনঃ স্বাদ, গন্ধ, রং ও ঘনত্ব এর বেশ পরিবর্তন থাকে। যেমনঃ লিচু ফুলের মধু, সরিষা ফুলের মধু, সুন্দরবনের মধু ইত্যাদি। সব ফুলের মধুরই আছে ভিন্ন ভিন্ন গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য। তাই কালোজিরা ফুলের মধুরও আছে ইউনিক কিছু বৈশিষ্ট্য।
স্বাদঃ আপনারা অনেকেই খেজুরের গুড় খেয়েছেন আশাকরি। এই কথাটি বলার কারণ হলো আপনি যদি কালোজিরা ফুলের মধু খান তাহলে বলবেন যে, গুড় এবং এই মধুর মাঝে কোনই পার্থক্য নাই। অর্থাৎ কালোজিরা ফুলের মধুর স্বাদ একদম খেজুরের গুড়ের মতো। তবে ভুলে গেলে চলবে না, মধু তো মধুই। সেটা কখনোই গুড় নই।
গন্ধঃ স্বাদ যেহেতু অনেকটা গুড়ের মতো তবে গন্ধ কিন্তু গুড়ের মতো না। বেশ আকর্ষণীয় এবং মনোমুগ্ধকর। আরেকটি জিনিষ মনে রাখতে হবে, আমাদের অনেকেই বলে থাকেন যে মধু খুব মিষ্টি। তাদের উদ্দেশে বলছি, জি ভাই মধু খুব মিষ্টি। কারণ মধু চিনির থেকে ২৫ গুন বেশি মিষ্টি।
রং: কালোজিরা ফুলের মধুর স্বাদ প্রায় গুড়ের মতো এবং দেখতে কালার ও কিন্তু গুড়ের মতোই প্রায়। কালো কালো টাইপ এর।
ঘনত্বঃ এইটি স্পেসিফিক ভাবে বলা কঠিন। মধুর ঘনত্ব ডিপেন্ড করে পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া, তাপমাত্রা, মধু পরিপক্ব কি না এবং মৌচাষির উপরে। তবে আমাদের দেশে যে মধু বিক্রি হয় তা সাধারণত ১৮% থেকে ২৫% পর্যন্ত জলীয় উপাদান থাকে। অনেক সময় কিছু কম বেশ হয়। জলীয় উপাদান যত কম হবে মধু তত ঘন হবে।
২। সরিষা ফুলের মধু
কৌতূহল উদ্দীপক একটি প্রস্ন: আসলেই তো আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি চাষ করা মধুর গুনগতমান বেশী না নাকি প্রকৃতিতে যে মধু সেটার মান ভাল। আসুন একটু আলোচনা করি এবং বুঝতে চেষ্টা করি কোনটির গুনগতমান বেশি।প্রথমে বলি প্রকৃতিতে যে মধু পাওয়া যায় তার কথা। প্রকৃতিতে যে মধু পাওয়া যায় তা ১০০% বিশুদ্ধ এবং পুস্তিমানের দিক থেকে সেরা।বিশেষ করে সুন্দরবন বা অন্যান্য বনাঞ্চলে যে মধু পাওয়া যায় তার পুষ্টিমান খুবই ভাল।সুন্দরবনের কেওরা ফুলের মধুর পুষ্টিমান অসাধারন। এছাড়া বিভিন্ন ফুলে ঘুরে মৌমাছি যে মধু সংগ্রহ করে তার মান ১০০% বিশুদ্ধ এবং অনেক অনেক দিন গুনগতমান অক্ষুণ্ণ থাকে যদি না তাতে ভেজাল মেশান হয়।তবে এই মধু আহরনের সময় এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভেজাল মিশে যায়, আসলে বলা চলে আহরন করার প্রক্রিয়াটিই ভেজাল হতে সাহায্য করে। যেমন মৌয়ালরা( যারা মধু সংগ্রহ করে ) যখন মধুর চাক কেটে দুইহাতে নিংড়ে মধু বের করে তখন মৌচাকের ভেতরে থাকা শূককীট এবং অনেক মৌমাছির শরীর এই মধুর সাথে মেশে, আবার তরল মোম মধুর সাথে মিশে যায় ফলে মধুর বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়। আবার দেখা যায় অনেক অবাঞ্চিত ময়লাও মধুর সাথে মিশে যেতে পারে।পাখির মল, বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড় ইত্যাদি।তাই প্রকৃতির মধু বিশুদ্ধ হলে আহরণ প্রক্রিয়াটি আধুনিক বা বিজ্ঞান্সম্মত না হওয়ায় এর পুষ্টিমান হ্রাস পায় বা ভেজাল মিশে যায়। এবার দেখি চাষের মধুর ক্ষেত্রে কি ঘটে ।চাষের মধুর মান কোনভাবেই প্রকৃতিতে পাওয়ার মধুর মানের সমান নয় বা হতে পারে না।কারন সাধারনত একটি বিশেষ ফুলের নির্যাস থেকেই মৌমাছি মধু তৈরি করে থাকে তাই পুস্তিমানের দিক থেকে এটা একটি দিকের প্রধান্য থাকে। এছাড়া বর্ষার মৌসুমে মৌমাছি যখন বাইরে যেতে পারে না তখন মৌচাষিরা তাদের পালিত মৌমাছিকে চিনির সিরা খেতে দেন তাই খেয়ে মাছিগুলো জীবন বাঁচায় এবং মধু উৎপন্ন করে যে মধুর মান প্রকৃতির মধুর সাথে কোনভাবেই তুলনীয় নয়। তবে এই মধু আহরন করার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞান্সম্মত এবং ভেজাল মুক্ত যদি না তাঁরা নিজেরা ভেজাল মেশায়। এই প্রক্রিয়ায় মৌচাক না ভেঙ্গে মধু সংগ্রহ করা হয় বলে মোম বা মৌমাছির কীট এই মধুতে মিশতে পারে না। এখন মানুষ যদি নিজেরা ভেজাল দেয় তবে এই নিরীহ প্রাণীটি কোন দোষ নেই। মানুষই প্রকৃতিকে দূষিত করে এবং নিজেরাই সেই দূষণের শিকার হয় ।
৩। লিচু ফুলের মধু
সুস্বাদু লিচুর জন্য বিখ্যাত উত্তরবঙ্গ। এই লিচু বাগানে কাঠের তৈরি শত শত বিশেষ বাক্সের মাধ্যমে মৌ চাষ করে সারা বছরের জন্য মধু সংগ্রহ করেন মৌচাষীরা। মৌমাছি বিভিন্ন ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে মধু তৈরি করে। মৌচাক পরিণত অবস্থায় পৌঁছলে মোম থেকে মৌমাছি সরিয়ে সংগ্রহ করা হয়। লিচু ফুলের মধু খেতে খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। অভিজ্ঞ ও প্রশিদ্ধ মৌচাষীদের দ্বারা লিচু ফুলের মধু আহরন ও সংগ্রহ করে কোন প্রকার মিশ্রণ ছাড়া সারা বৎসর বাজারজাত করি তাই এ মধুর স্বকীয়তা, গুণগত মান, মূল্য এবং বিষমুক্ততা নিয়ে আপনাকে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি।
মধুর বহুমুখী গুণাগুণ সম্পর্কে অধিকাংশ লোকে অবগত নন৷ সাধারণ মানুষ ভেবে থাকেন কিছু রোগ আরোগ্যেই এর প্রয়োগ হয়ে থাকে মাত্র৷ কিন্তু মধু যে একটি উত্তম আহার্য্য ও পানীয় সে বিষয়ে সবাই জ্ঞাত নন৷ আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে মধুর গুণাগুণ জানতে পেরে পাশ্চাত্ত্য দেশের বহু লোক মধুর উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশেষ সচেষ্ট হয়েছেন৷ অনেকে সেই দেশগুলিতে এখন গুড় চিনির ব্যবহার কমিয়ে মধুর ব্যবহার করতেও শুরু করেছেন৷ ভারতবর্ষের যোগী ও মুনি ঋষিরা অবশ্য প্রাচীন কাল থেকেই এর গুণাগুণ সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে অবগত ছিলেন৷
যাঁরা যোগ সাধনা করেন তাঁদের পক্ষে এ যুগে খাদ্যাখাদ্য বিচার ও নির্বাচন একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়৷ যোগ সাধকরা যে ধরণের খাদ্য পেতে চান তা সচরাচর বাজারে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়৷ যোগীরা এমন ধরণের সহজ পাচ্য ও লঘু ধরণের খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করতে চান যেগুলি অল্প সময়ে ও সহজে
হজম হয়ে যাবে৷ পেট হালকা ঠাণ্ডা রাখবে আর শরীরে যথেষ্ট বলও পাওয়া যাবে৷ এ ধরণের মানসিকতার বশবর্ত্তী হয়েই প্রাচীনকালের যোগী ও তান্ত্রিকরা ফল মূল, গো–দুগ্ধ ও মধু ইত্যাদি আহার্য্য ও পানীয় গ্রহণে বেশী ইচ্ছুক থাকতেন৷ যোগ সাধকদের পক্ষে মধুএক উপাদেয় আর আদর্শ আহার্য্য পানীয় বলে গণ্য হয়৷
মধু শীতলকারী, হাল্কা, স্বাদপূর্ণ, রুক্ষ, সহজপাচ্য (গ্রাহী) লেখন চোখের পক্ষে হিতকারী, ক্ষুধা, বর্ধক (দীপন),শ্বরশোধক মুখের ব্রণ নির্মূলক, ত্বকের উজ্জলতা বর্ধক, শরীরের সৌন্দর্য বর্ধক, সুখপ্রদানকারী, (আহ্লাদ কর্ত্তা), অত্যন্ত প্রসন্ন প্রদানকারী, মস্তিষ্কের কর্মশক্তি বর্ধক (মেধা), বৃষা বিষদ ও রোচক গুণ সম্পন্ন৷ মধুতে কুষ্ঠ, বর্মন,শ্বাসকষ্ট, হিক্কা আর অতিসার প্রভৃতি রোগ ভাল হয়৷ এছাড়া কাশি, রক্তপিত্ত, কফ, প্রমেহ, কৃমি, ক্লম, মেদরোগ, তৃষ্ণাবৃত্তির প্রাবল্য যক্ষ্মা প্রভৃতি ব্যাধিতেও–মধুর ব্যবহার খুবই ফলপ্রদ৷ মধুকে সংসৃক্ত ভাষায় বৈদ্যরা ‘যোগবাহী’ শব্দের একটি অর্থ আছে৷ যদি কোন পদার্থ (মধু) অন্য এক বা একাধিক পদার্থের সাথে মিশ্রিত হয়ে মিশ্রিত পদার্থের গুণ বর্ধন করে আর উক্ত দ্রব্যটির সমান নিজেরও গুণের পরিচয় দেয় তবে তাকে বলা হয় যোগবাহী দ্রব্য৷ মধুকে তাই যোগবাহী উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে৷ প্রবন্ধের পরিণত স্তরে এ ব্যাপারে আলোচনা করে দেখানো হয়েছে যে মধু কী কী দ্রব্য, ফল বা গুল্মের সাথে মিশ্রিত হয়ে কোন্ কোন্ ব্যাধিকে দূর করতে সক্ষম হয়৷
সাধারণ মানুষ জানে না যে মধুর মধ্যে কত ধরণের আর কী পরিমাণ খাদ্য মূল্য সঞ্চিত হয়ে আছে৷ বিজ্ঞানীরা বলেন মানব শরীরের পক্ষে অত্যাবশ্যক ৮০প্রকারের প্রয়োজনীয় মৌল উপাদান মধুর মধ্যে পাওয়া যায়৷ গবেষণাগারের পরীক্ষাতে যে সব জিনিস মধুর ভেতর থেকে নিষ্কাষণ করে বের করা সম্ভব হয়েছে সেগুলির বিবরণ দেওয়া হ’ল৷
নানা প্রকারের এনজাইম মধুতে রয়েছে৷ যেমন–নবারটেস, ক্যাটলেস, পেরেকসডেস, ডিয়াসটেস, শরীর রক্ষায় এসব এনজাইমের ভূমিকা যথেষ্ট৷ ডাক্তারবাবুরা বলেন, এই উপাদানটি ছাড়া মানুষের শরীরে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে পড়ে৷ পাচন ক্রিয়াতে এনজাইমের প্রয়োজন হয়৷ তাই মধু খেলে শরীরের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ যেমন কর্মশক্তি ফিরে পায় আবার পাকস্থলীর খাদ্য হজমের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়৷
মধুতে বিজ্ঞানীরা খঁুজে পেয়েছেন আরও অনেক উপাদান৷ ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, ক্লোরিণ, ফসফরাস ও আয়োডিন৷ এমনকি কোন কোন মধুর মধ্যে রেডিয়ামও পাওয়া গেছে৷ পলিফ্লাওয়ার ও আরও কিছু ফলের রস থেকে উৎপাদিত মধুতে এ্যালুমিনিয়াম, বোরণ, ক্লোরিণ, কপার, লেড, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ, লিথিয়াম, ওসমিয়াম, সিলিকন, টিন, জিঙ্ক, টিটানিয়াম ধাতব দ্রব্যের সন্ধান পেয়েছেন মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ই এস প্রোবোবস্কি৷ এ সব খনিজ পদার্থ স্নায়ুমণ্ডলীকে সুস্থ রাখতে, রক্ত সঞ্চালনে শরীরের টিসুগুলির পুষ্টিসাধনে আর এনজাইম বাইটামিন–হর্মোনের মধ্যে মিশ্র রাসায়নিক সমন্বয় সাধনে বিশেষ সাহায্য করে৷
এছাড়াও মধুতে পাওয়া গেছে অনেক ধরণের অর্গানিক এ্যাসিড৷ এতে আছে ম্যালিক, সাইট্রিক, টারটারিক আর অক্সালিক এ্যাসিড৷
শরীরের উত্তাপ রক্ষায় , কর্ম ক্ষমতাকে অটুট রাখতে আমাদের ক্যালরির দরকার হয়৷ চিনি থেকে আমরা যে ক্যালরি পাই তাতে শরীরের পুষ্টি সাধনে যতটা সুবিধা হয় তার চেয়ে ২০ গুণ বেশী ফলদায়ক হয় মধু থেকে আহুত ক্যালরির দ্বারা, কারণ মধুর এই উপাদানটির সাথে আরও বহু প্রকারের পুষ্টিকর জিনিস শরীরে প্রবেশ করতে পারে৷ মধুতে বাইটামিনও আছে নানা ধরণের৷ বাইটামিনের অভাবে আমাদের শরীর বেরিবেরি, রিকেট, স্কার্বি প্রভৃতি জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে৷ মধু খেলে অনেক ধরনের বাইটামিনও শরীরে ঢুকতে পারে, বি–১, বি–২, বি–৩, বি–৫, বি–৬, বি. ই আর কে বাইটামিনের সন্ধানও মধুতে পাওয়া গেছে৷ এক কিলোগ্রাম মধুতে নিম্নহারে বাইটামিন পাওয়া গেছে: বাইটামিন বি–২–১.৫ মিলিগ্রাম, বাইটামিন বি–১–০.১ মিলিগ্রাম, বাইটামিন বি–৬–৫.০ মিলিগ্রাম, বাইটামিন সি–৫.৪ মিলিগ্রাম৷ মধুর ব্যবহার তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে এত ব্যাপক ও বহুমুখী৷ এত বেশী খাদ্য মূল্য আর প্রতিষেধক ক্ষমতা এর মধ্যে রয়েছে যে, প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ এমনকি বর্ত্তমানের বৈজ্ঞানিক যুগেও মধুর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে৷
উপরোক্ত যে কোন ধরনের খাঁটি মধু শতভাগ গ্যারান্টি সহকারে আমরা পাইকারী এবং খুচরা বিক্রয় করে থাকি।
যোগাযোগ : ০১৮৬৬-৬২৬৬৬২