
বিশেষ সংবাদদাতা:
চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতায় (১৪ সেপ্টেম্বর) বৃহষ্প্রতিবার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দুই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের দু’ধরনের প্রশ্ন বিতরন করায় শিক্ষার্থী-অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এনিয়ে শিক্ষাবোর্ড ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। এনিয়ে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদেও মধ্যে চলছে তোলপাড় ।
জানাযায়, গত বৃহষ্প্রতিবার এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের জীববিজ্ঞান ২য় পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরু হলে কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভুলক্রমে ০৪ সেট (চিল) থেকে (সৃজনশীল) প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করেন। পরীক্ষার্থীরা এই প্রশ্ন পত্র দিয়েই পরীক্ষা সম্পন্ন করে। অপরদিকে কোটচাঁদপুর সরকারি কেএমএইচ কলেজ কেন্দ্রের দায়িত ¡প্রাপ্তরা শিক্ষার্থীদের মাঝে বোর্ড নির্দেশনা অনুযায়ী ০২ সেট (বালিহাঁস) থেকে প্রশ্ন প্রত্র বিতরন করেছেন। যা দিয়ে তারা পরীক্ষা দিয়েছে । কিন্তু পরীক্ষা শেষে বিষয়টি দুই কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে জানাজানি হলে শুরু হয় তোলপাড় ও সমালোচনার ঝড়। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পৌর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা। তারা অনেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে তাদের দেয়া ০৪ সেটের প্রশ্ন পত্র তুলনামুলক কঠিন হয়েছে। এতে তারা অসন্তোষ্টি প্রকাশ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট পৌর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সহকারি অধ্যাপক) মোঃ শহিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে এভাবে প্রশ্নপত্র বিতরন করার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আসলে পরীক্ষা কেন্দ্রের দুই পরীক্ষার্থী রাস্তায় মারাত্মক এক্্িরডেন্ট করায় আমরা এ সময় অস্থির পরিবেশে ভুল করে ফেলেছি।
সরকারি কেএমএইচ কলেজ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ খাইরুজ্জামান বলেন, ওই কেন্দ্রে আমাদের কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। কেন তারা এমন ভুল করলো বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডঃ শাহীন বিশ্বাসের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন,এটা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভুল করেছে তার বিরুদ্ধে আমারা ব্যবস্থা নেব। এতে শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হবে না। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।