হটাৎ জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সব ধরনের মুল্যবৃদ্ধির জাতাকলে পড়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পর্যায়ের সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়েে পড়েছে। প্রতিনিয়ত হু হু করে বেড়ে চলেছে নিত্যকার খাদ্যপন্যসহ সবধরনের জিনিষের দাম।
অস্বাভাবিক বেড়েছে পরিবহন ভাড়া। এমনিতেই গত দুই বছওে করোনা ভাইরাসে অনেক মানুষ কর্মহীন বেকার জীবন যাপন করছেন। আবার যারা বিভিন্ন বেসরকারি বা পাবলিক প্রতিষ্ঠ নে কাজ করেন তারা ঠিকভাবে বেতন পান না। কেবলমাত্র সরকারি,আধা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন তারাই ঠিকভাবে বেতনভাতা পেয়ে স্বাচ্ছন্দে খেয়ে-পরে বেঁেচ থাকলেও এই মুল্য বৃদ্ধিতে তারা অসন্তোষ্ট । এমনই এক কঠিন পরিস্থিতিতে রাতারাতি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ কিভাবে বেঁেচ থাকবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। কিভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বেচেঁ থাকবেন তার কুলকিনারা খুজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে জ্বালানির এই মুল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা জানায়,এমনিতেই গত কয়েকদিন আগে সারের দাম বেড়েছে,এখন আবার ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা পড়েছেন মহাবিপাকে। বাড়তি দামে ডিজেল কিনে কিভাবে সেচকাজ রক্ষা করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। কৃষিই যাদের পেশা ও বেঁচে থাকার অবলম্বন সেখানে কিভাবে,কোন উপায়ে চাষাবাদ রক্ষা করবেন তার উত্তর তাদের জানা নেই। ভুক্তভোগিরা বলেছেন,হটাৎ করে অস্বাভাবিক পরিমানে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাস ভাড়া অর্থ্যাৎ গনপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি,নিত্যকার খাদ্যপন্য, চাল,আটা,তেল,মসলা,বিস্কুটসহ সব ধরনের খাদ্যপন্য,নির্মান সামগ্রী,কাপড়-চোপড়,প্রসাধনী,শিক্ষা সামগ্রী(কাগজ) মোট কথা এমন কোন জিনিষ নেই যার দাম অভাবনীয় পরিমানে বেড়ে গেছে। কিন্তু অন্যদিকে বাজার জুড়ে এক অরাজকতা শুরু হয়েছে। প্রতারক ও সুযোগ সন্ধানী অতিমুনাফালোভি ব্যাবসায়ীরা যে যেভাবে পারছে ক্রেতা সাধারনকে বোকা বানিয়ে মিথ্যা কথা বলে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের সবারই এক কথা তেলের দাম বাড়ার পর দাম বেড়ে গেছে। আমাদের কিছু করার নেই। খাদ্যপন্য থেকে শুরু করে এমন কোন জিনিষ নেই খেয়ালখুশিমত দাম হাতিয়ে নিচ্ছে না। নির্মান সামগ্রীর মধ্যে রড, সিমেন্টের দাম তো তেলের দাম বাড়ানোর সাথে সাথে ধান্ধাবাজ দোকানিরা বাড়িয়ে বসে আছে। এরই মধ্যে সিমেন্ট প্রথমে সাড়ে ৫০০ টাকা কোন দোকানী ৬০০ নিলেও এখন সবাই খুচরা দোকানিসহ সবাই ৬০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।